গ্রিন ভ্যালি পার্কে প্রবেশের সময়সূচী ও টিকিট মূল্য

রাজধানী ঢাকা থেকে বাঘা-ঈশ্বরদী রুটে চলাচলকারী বাসে উঠে প্রথমে আসতে হবে বাঘা নামক স্থানে। তারপর সেখান থেকে সিএনজি বা অটোরিক্সা অথবা ভ্যান গাড়িতে চড়ে যাওয়া যাবে লালপুর গ্রিন ভ্যালি পার্কে। আবার আপনি চাইলে ঢাকার বাইরে থেকেও গ্রিন ভ্যালি পার্কে আসতে পারেন।

তার জন্য প্রথমে আসতে হবে নাটোর শহরে এবং সেখান থেকে যেতে হবে লালপুর গ্রিন ভ্যালি পার্কে। তাছাড়া রাজধানী ঢাকার কমলাপুর এবং বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনে করে আসতে হবে নাটোর রেলওয়ে স্টেশন অথবা আব্দুলপুর রেলওয়ে জংশনে এবং সেখান থেকে অটোরিক্সা করে যেতে হবে লালপুর গ্রিন ভ্যালি পার্কে।

রাজশহী থেকেও গ্রিন ভ্যালি পার্কে যাওয়া অনেকটা সহজ। কেননা রাজশহী থেকে সরাসরি লালপুর পর্যন্ত বাস চলাচল করে। ট্রেনে চড়েও গ্রিন ভ্যালি পার্কে আসা যাবে, তার জন্য প্রথমে আব্দুলপুর জংশনে নামতে হবে এবং তারপর সিএনজি অটোরিক্সা নিয়ে গ্রিন ভ্যালি পার্কে খুব সহজেই যাওয়া যাবে। আব্দুলপুর রেলওয়ে জংশন হতে গ্রীন ভ্যালি পার্কের দূরত্ব ১০-১২ কিলোমিটারের মতো।

বর্তমান সময়ে নাটোরে বেশ ভালো মানের আবাসিক হোটেল গড়ে উঠেছে। আপনি চাইলে সেই সব হোটেলে সিঙ্গেল কিংবা ডাবল কেবিন নিয়ে রাত্রিযাপন করতে পারেন। এছাড়াও পেয়ে যাবেন নাটোর সার্কিট হাউস, নাটোর সদর ডাক বাংলো, হোটেল রাজ, হোটেল প্রিন্স, হোটেল মিল্লাত সহ আরো অনেক মানসম্মত আবাসিক জায়গা।

পাশাপাশি নাটোরে কম খরচে খাবার জন্য ২টা হোটেলের বেশ সুনাম রয়েছে সেগুলো হলো নয়ন হোটেল (রেলওয়ে স্টেশনের পাশে) ও পচুর হোটেল। তাছাড়াও ভিআইপি মানের অনেক ৫তারকা মানের হোটেল গড়ে তোলা হয়েছে নাটোরে। আপনি চাইলে সেখান থেকেও খাবার নিতে পারেন।

নাটোরের উল্লেখযোগ্য খাবারের মধ্যে রয়েছে, চলনবিল এবং রানী ভবানীর সুস্বাদু মাছ ও নাটোরের বিখ্যাত কাঁচাগোল্লা। আপনি চাইলে এগুলো খাওয়ার পাশাপাশি বন্ধু-বান্ধব বা পরিবারের জন্য পার্সেল করে নিয়ে যেতে পারেন।

সুপ্রিয় পাঠক, দেশ ইনফো বি.আর ব্লগের এই আর্টিকেলে গ্রিন ভ্যালি পার্কে প্রবেশের সময়সূচী ও টিকিট মূল্য এবং সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচন করা হয়েছে। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অন্যদের সাথে শেয়ার করে জানিয়ে দিন।