বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৪ ও ভাড়ার তালিকা

সুপ্রিয় পাঠক, বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী এবং বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা ও বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটার উপায় এবং বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের আসন বিন্যাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া
এই আর্টিকেলে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের বিশেষ আকর্ষণ সহ বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের সকল তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। পাশাপাশি বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়ার তালিকা সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে।
সূচিপত্রঃ বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৪ ও ভাড়ার তালিকা

বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন

বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের অধীনে পরিচালিত আন্তঃনগর ট্রেন হলো বনলতা এক্সপ্রেস।বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের নাম্বার ৭৯১/৭৯২। যা ঢাকা-রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বিরতিহীন ভাবে যাত্রী পরিবহন করে থাকে।

বাংলাদেশ রেল কর্তৃপক্ষ ২০১৯ সালের ২৫ই এপ্রিল ঢাকা-রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বিরতিহীন রেলসেবা দেওয়ার জন্য বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন করে।

বর্তমান সময়ে ঢাকা-রাজশাহী রুটে ৫টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে থাকে যার মধ্যে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন বিরিতিহীন ভাবে যাত্রী পরিবহন করে থাকে। বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের গতিবেগ ঘন্টায় ৯৫-১০০ কিলোমিটার।

বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন সার্ভিসে ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ বগি যুক্ত করা হয়েছে। নতুন ব্যবহৃত ব্রডগেজ বগি সমূহতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়ন করা। বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন ১২টি কোচ নিয়ে বিরতিহীন ভাবে ঢাকা-রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে যাত্রী পরিবহন করে থাকে।

বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য ঢাকা-রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটের চলাচলকৃত যাত্রীদের আসা-যাওয়া সহজতর, দ্রুততর এবং আরামদায়ক হয়ে থাকে।

বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী

বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন সপ্তাহে ৬দিন বিরতিহীনভাবে ঢাকা-রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে যাত্রীসেবা দিয়ে থাকে। বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে দুপুর ০১:৩০ মিনিটে যাত্রা শুরু করে রাজশাহীতে পৌঁছায় সন্ধ্যা ০৬:০৫ মিনিটে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ যায় সন্ধ্যা ০৭টায়।

আবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ট্রেন ছেড়ে আসে সকাল ০৬টায় এবং রাজশাহী থেকে যাত্রা শুরু করে সকাল ০৭টায় যা ঢাকায় পৌঁছায় সকাল ১১:৩৫ মিনিটে।
ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা
স্টেশন যাত্রা শুরুপৌঁছায়সাপ্তাহিক ছুটি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনসকাল ০৬:০০ মিনিটসকাল ১১:৩৫ মিনিটশুক্রবার
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনদুপুর ০১:৩০ মিনিটসন্ধ্যা ০৭:০০ মিনিটশুক্রবার
ঢাকা-রাজশাহী-ঢাকা
স্টেশনযাত্রা শুরুপৌঁছায়সাপ্তাহিক ছুটি
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনসকাল ০৭:০০ মিনিটসকাল ১১:৩৫ মিনিটশুক্রবার
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনদুপুর ০১:৩০ মিনিটসন্ধ্যা ০৬:০৫ মিনিটশুক্রবার

বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা

ঢাকা-রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে চলাচলকৃত বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ ননস্টপ ব্র্যান্ডের একটি আন্তঃনগর ট্রেন। যা পরিচালনা করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ননস্টপ ব্র্যান্ডের ট্রেন হওয়ার কারণে অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া কিছুটা বেশি।

ঢাকা-রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে চলাচলকৃত বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে রয়েছে শোভন চেয়ার, স্নিগ্ধা এবং এসি চেয়ার ও বার্থ যাদের ভাড়া আলাদা ফরমেটে নেওয়া হয়। বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা জানানো হলো,
ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা
আসন বিন্যাসভাড়া
শোভন চেয়ার৫২৫ টাকা
স্নিগ্ধা৭৮০ টাকা
এসি চেয়ার১০২৪ টাকা
ঢাকা-রাজশাহী-ঢাকা
আসন বিন্যাসভাড়া
শোভন চেয়ার ৪৫০ টাকা
স্নিগ্ধা ৭০০ টাকা
এসি চেয়ার  ৮৭৫ টাকা
বাংলাদেশ রেল কর্তৃপক্ষ যেকোনো মুহূর্তে ভাড়ার পরিবর্তন করতে পারে সে কারণে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটার পূর্বে ভাড়ার তালিকা জেনে নিন। অনলাইনে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট বুকিং দিলে অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ দিতে হবে।

বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের আসন বিন্যাস

বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকার কারণে যাত্রীদের পছন্দের শীর্ষে থাকে। বর্তমান সময় বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ১২টি কোচে মোট আসন সংখ্যা রয়েছে ৯২৮টি।

তার মধ্যে শোভন চেয়ার ৬৪৪টি, এসি চেয়ার ১৬০টি, খাবার গাড়িতে আসন ১০৮টি এবং পাওয়ার কারে ১৬টি। বাংলাদেশ রেলওয়ের নিজস্ব ক্যাটারিং সার্ভিস দ্বারা খাবার সরবরাহ করা হয় বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে।

বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটার উপায়

আপনি যদি ঢাকা-রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে ভ্রমণ করতে চান তাহলে দুটি উপায় অবলম্বন করে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন। অনলাইন পদ্ধতিতে এবং অফলাইন পদ্ধতিতে।
  • অনলাইন পদ্ধতিতে
অনলাইন পদ্ধতিতে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করার জন্য প্রথমে আপনাকে স্মার্টফোন, ডেস্কটপ অথবা ল্যাপটপ কম্পিউটার ব্যবহার করতে হবে। তারপর eticket.railway.gov.bd এই লিংকে প্রবেশ করতে হবে।

এবং সেখানে ভ্রমণের তারিখ উল্লেখ করার পাশাপাশি আপনার সকল তথ্য দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। অনলাইনে আপনাকে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে এক্সট্রা টাকা পরিশোধ করতে হবে।
  • অফলাইন পদ্ধতিতে
আপনি যদি ঢাকা থেকে রাজশাহী কিংবা রাজশাহী থেকে ঢাকা ভ্রমণ করতে চান তাহলে অফলাইনের মাধ্যমেও বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে পারবে। তার জন্য ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন বা ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন এবং রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে ভ্রমণের তারিখ এবং যাবতীয় তথ্য উল্লেখ করে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।

বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের বিশেষ আকর্ষণ

  • খাবার গাড়ি অত্যাধুনিক ডাইনিং সুবিধা রয়েছে
  • অনাকাঙ্ক্ষিত ট্রেন থামানো রোধে এলার্ম চেইন পুলিং সিস্টেম রয়েছে
  • ট্রেনের প্রতিটি কোচ স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি ও আধুনিক যাত্রী সুবিধা সম্বলিত
  • মোবাইল বা ল্যাপটপ চার্জের ব্যবস্থা রয়েছে
  • অজুখানা ও নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে
  • বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এলইডি লাইট রয়েছে
  • জার্মানির তৈরি অটোমেটিক এয়ার ব্রেক সিস্টেম রয়েছে
  • শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক কোচ রয়েছে
  • প্রতিবন্ধী যাত্রীদের হুইল চেয়ারের সুবিধা রয়েছে
  • প্রতিটি কোচে বায়ো টয়লেট সংযোজন রয়েছে
  • অত্যাধুনিক ও মানসম্মত চেয়ার, বার্থ ব্যবহার করা হয়েছে

শেষ কথা

সুপ্রিয় পাঠক, দেশ ইনফো বি.আর ওয়েবসাইটের এই আর্টিকেলে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী এবং বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা ও বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটার উপায় এবং বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের আসন বিন্যাস সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অন্যদের সাথে শেয়ার করে জানিয়ে দিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দেশইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url